



ছোট্ট চিরকুটেই কিছু গল্প, কিছু অভিজ্ঞতা এবং জানা অজানা কিছু বিষয়ের প্রকাশ
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ধারা ৫৩-গ - "রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০-এর অধীনে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ানে কোন সম্পত্তি সম্পর্কে কোন ব্যক্তির নাম না থাকলে কোন সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে না এবং অন্যথায় যে কোন বিক্রয় বাতিল হবে। বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হলে খতিয়ানে তার বা তার পূর্বপুরুষের নাম থাকতে হবে, বিক্রেতা উত্তরাধিকার ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় মালিক হলে খতিয়ানে তার নাম থাকতে হবে।৭. দলিল মালিকানা বা স্বত্ব প্রমাণ করে কিন্তু দখল নয় অর্থাৎ দলিল মালিকের দখল প্রমাণ করে না। দখল প্রমাণিত হয় রেকর্ড বা নামজারি, খাজনা/ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা ইত্যাদি দ্বারা। স্মরণ রাখতে হবে যে, মালিকানা স্বত্ব ও দখল মিলিয়ে আপনি একটি জমির বাস্তবে মালিক। নইলে মঙ্গল গ্রহে কোন জমি কিনলেও তা আপনার কোন মঙ্গল করবে না।
জমি কেনার পর অনেকে পরামর্শ দিবেন যে, নামজারি করবার দরকার নাই, প্রিন্ট খতিয়ান আসলে একবারে নামজারি করে নিবেন, এখন নামজারি করলেও তো আবার নামজারি করতে হবে, কি দরকার দুইবার টাকা খরচ করবার? অনুগ্রহপূর্বক এই পরামর্শে কর্নপাত করবেন না এবং এটা আবেগী ও ভুল পরামর্শ।১৬. বিধানটি আগে থাকলেও নতুন ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩ এ ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া থাকলে জমি খাস করার বিধান করা হয়েছে এবং তা প্রয়োগও হবে মনে হয় এবং তিন বছর হয়ে গেলে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সরকারের জন্য তামাদি হয়ে যায় - এ বিধান অকার্যকর করা হয়েছে, এখন ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়ার কোনো তামাদি নাই।
জমি কেনার সাথে সাথেই সার্টিফাইড কপি তুলে নামজারি করে নিবেন। এরপর প্রিন্ট খতিয়ান আসলে আবার নামজারি করে নিবেন। যেহেতু নতুন রেকর্ডে খতিয়ান ও দাগনং পরিবর্তিত হয়, তাই নামজারি করতেই হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনলেন আর জমিটিকে সুরক্ষার জন্য, নিজেকে ও ভবিষ্যত বংশধরদের নিরাপদ করবার জন্য সামান্য কিছু টাকা দুইবার খরচ করতে পারবেন না - এটা যৌক্তিক নয়।
এখানে আপনি চাইলে আপনার জমির তফসিল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সাধারণ ডায়েরি করার পর একটি জিডি নম্বর দিবে। এটির এক কপি নিজের সংগ্রহে রাখুন। পুলিশ দলিলটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবে। খুঁজে না পেলে মূল দলিলের সত্যায়িত নকল (Certified Copy) তুলতে হবে।বরাবর, অফিসার ইন চার্জ, ………… (থানার নাম ও ঠিকানা)
বিষয়ঃ সাধারণ ডায়েরি প্রসঙ্গে।
জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি ………… (নাম/বয়স/পিতার নাম/পূর্ণ ঠিকানা) বিগত ………… ইং তারিখে …… (স্থানের নাম) হইতে বাস/রিক্সাযোগে ………(স্থানের নাম) যাবার সময় অনুমানিক ……… ঘটিকার সময় আমার সঙ্গে থাকা বিগত ……… ইং তারিখে রেজিঃকৃত ………… নং ……… দলিলটি, যার দাতার নাম ………… এবং গ্রহিতার নাম …………, হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে বহু খোঁজাখুঁজির পর দলিলটি খুঁজে পাই নি। এমতাবস্থায় উপরোক্ত বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার সুআজ্ঞা হয়।
বিনীত - (নাম/মোবাইল নম্বর)
মনে রাখবেন, দলিল পুড়ে গেলে বা প্রাকৃতিক দূর্যোগের জন্য দলিল নষ্ট হয়ে গেলে থানায় জিডি করে রাখবেন।
ধরে নিলাম কেউ বাসাটা কিনে নিজেই থাকা শুরু করলেন।
"নিজের বাড়ি" একটা বিংশ শতকের এলিটিস্ট আবেগ। একে প্রশ্রয় নিতান্তই বড়সড় বোকামি!
অনেকে আবার লোন করে ফ্ল্যাট কিনেন। বিশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে যে ফ্ল্যাটে থাকা যায়, সেই ফ্ল্যাটে ডাউন পেমেন্টের টাকা পকেট থেকে দিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে কিস্তি দেয়। এসেট হয়ে যায় লায়াবিলিটি, প্রতি মাসে যার খরচ অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা!
এবার ভেবে দেখুন, টাকা জমিয়ে জমিয়ে ফ্ল্যাট না কিনে সেই থাকায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করেও আপনি লাভবান হতে পারেন।