দৃষ্টি নন্দন ফ্ল্যাট বাড়ী দেখে অনেক মধ্যবিত্তরাই নিজের একটি স্থায়ী আবাস্থল বানানোর চেষ্টা করে থাকেন। এক তো রিয়েল স্টেট ব্যবসায় রয়েছে মিডল ক্লাস ট্র্যাপ তার উপর বিনিয়োগ সংক্রান্ত লোকসান। কোন ব্যক্তি হয়তো তার সারা জীবনের সঞ্চিত টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তাদের অনেকেই জানেন না, এতে যেমন রয়েছে ঝুঁকি তেমনি রয়েছে ব্যবসায়িক লোকসান। আসুন বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেই।
বাংলাদেশে এসেটের দামের তুলনায় ভাড়া নিতান্তই কম!! উদাহরণ স্বরূপ বলি। ধরুন, আপনি রাজধারীর উত্তরায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের একটা বড়সড় ফ্ল্যাট কিনলেন, দাম নিল দুই কোটি টাকা। এই বাসার ভাড়া হবে বড়জোড় মাসিক পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এটা না কিনে, পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সে এই বাসাতেই এক বছরে মাত্র ছয় লাখ টাকা দিয়ে থাকতে পারে। মানে দশ বছর থাকতে পারে ষাট লাখ টাকায়। তিরিশ বছর থাকতে পারে এক কোটি আশি লাখ টাকায়!
এই দুই কুটি টাকা হালাল এবং বিজনেস পন্থায় ইনভেস্ট করে প্রতি মাসে অন্ততঃ দুলক্ষ টাকা অনায়সে বানাতে পারে। তাহলে বৎসরে চব্বিশ লক্ষ টাকা। যদি আমরা এটা ত্রিশ বছর ধরি তাহলে (৩০×২৪=৭,২০,০০০০০) সাত কোটি বিশ লক্ষ টাকা! এটা কতটা সফলতা বিচার আপনার হাতে।
কিন্তু যদি আপনি ফ্ল্যাটই কিনতেন তাহলে এই ত্রিশ বছরে আপনার ফ্ল্যাট এর চেহারার অবস্থা কি দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখুন তো? ফ্ল্যাট তো জমি না, এর ডেপ্রিসিয়েশন (অবচয়) আছে। এখনকার বাজারে ত্রিশ বছরের পুরনো একটা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে যান, বুঝবেন। ক্রেতা পাওয়া দুস্কর! আর নিজেরা থাকলে প্রজন্মের রুচি ও দাবি অনুযায়ী বিল্ডিং ভেংগে আবার নতুন করে বাড়ি বানাতে কি পরিমাণ নতুন পুঁজি প্রয়োজন তার হিসেব মিলিয়ে নিন! কিন্তু যদি ভাড়া থাকেন পুরো ত্রিশ বছরই নতুন ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন, সুবিধা অনুযায়ী এলাকায় শিফট করতে পারবেন, পরিবেশ ভাল না লাগলে বদলে ফেলতে পারবেন।
বাংলাদেশে এসেটের দামের তুলনায় ভাড়া নিতান্তই কম!! উদাহরণ স্বরূপ বলি। ধরুন, আপনি রাজধারীর উত্তরায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের একটা বড়সড় ফ্ল্যাট কিনলেন, দাম নিল দুই কোটি টাকা। এই বাসার ভাড়া হবে বড়জোড় মাসিক পঞ্চাশ হাজার টাকা।

ধরে নিলাম কেউ বাসাটা কিনে নিজেই থাকা শুরু করলেন।
এটা না কিনে, পঞ্চাশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সে এই বাসাতেই এক বছরে মাত্র ছয় লাখ টাকা দিয়ে থাকতে পারে। মানে দশ বছর থাকতে পারে ষাট লাখ টাকায়। তিরিশ বছর থাকতে পারে এক কোটি আশি লাখ টাকায়!
এই দুই কুটি টাকা হালাল এবং বিজনেস পন্থায় ইনভেস্ট করে প্রতি মাসে অন্ততঃ দুলক্ষ টাকা অনায়সে বানাতে পারে। তাহলে বৎসরে চব্বিশ লক্ষ টাকা। যদি আমরা এটা ত্রিশ বছর ধরি তাহলে (৩০×২৪=৭,২০,০০০০০) সাত কোটি বিশ লক্ষ টাকা! এটা কতটা সফলতা বিচার আপনার হাতে।
কিন্তু যদি আপনি ফ্ল্যাটই কিনতেন তাহলে এই ত্রিশ বছরে আপনার ফ্ল্যাট এর চেহারার অবস্থা কি দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখুন তো? ফ্ল্যাট তো জমি না, এর ডেপ্রিসিয়েশন (অবচয়) আছে। এখনকার বাজারে ত্রিশ বছরের পুরনো একটা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে যান, বুঝবেন। ক্রেতা পাওয়া দুস্কর! আর নিজেরা থাকলে প্রজন্মের রুচি ও দাবি অনুযায়ী বিল্ডিং ভেংগে আবার নতুন করে বাড়ি বানাতে কি পরিমাণ নতুন পুঁজি প্রয়োজন তার হিসেব মিলিয়ে নিন! কিন্তু যদি ভাড়া থাকেন পুরো ত্রিশ বছরই নতুন ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন, সুবিধা অনুযায়ী এলাকায় শিফট করতে পারবেন, পরিবেশ ভাল না লাগলে বদলে ফেলতে পারবেন।
"নিজের বাড়ি" একটা বিংশ শতকের এলিটিস্ট আবেগ। একে প্রশ্রয় নিতান্তই বড়সড় বোকামি!
অনেকে আবার লোন করে ফ্ল্যাট কিনেন। বিশ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে যে ফ্ল্যাটে থাকা যায়, সেই ফ্ল্যাটে ডাউন পেমেন্টের টাকা পকেট থেকে দিয়ে চল্লিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে কিস্তি দেয়। এসেট হয়ে যায় লায়াবিলিটি, প্রতি মাসে যার খরচ অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা!
এবার ভেবে দেখুন, টাকা জমিয়ে জমিয়ে ফ্ল্যাট না কিনে সেই থাকায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করেও আপনি লাভবান হতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন